My Blog List

Sunday, March 20, 2011

নারীদের প্রতি খোলা চিঠি

ঠিকমত নামাজ না পড়া এবং সময়মত বাসায় না ফেরায় বিপদের ঝুঁকিঃ

প্রয়োজন ছাড়া শুভ রহমানের বাইরে বের হওয়া নেই বললেই চলে।বাইরে যাওয়া বলতে আছে কেবল শুভ রহমানের-স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়তে যাওয়া,মাঝে-মধ্যে কাঁচা বাজার করতে যাওয়া এবং যেটি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সেটি হলঃবিকেল বেলা হাঁটতে হাঁটতে পৌর মার্কেটে যাওয়া।শুভ রহমান বছর ...খানেক আগেও বেশ মুটিয়ে গিয়েছিলেন এ কারণে তার হার্টের সমস্যা হয়ে গিয়েছিল।শিরায় শিরায় চর্বি জমে ব্যাথা অনুভব করতেন শুভ রহমান।একদিন তিনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার তাকে ব্যায়াম করার পরামর্শ দিলেন।শুভ রহমান শিক্ষিত ছেলে এ কারণে তিনি জানতেন,ব্যায়ামের মধ্যে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ব্যায়াম হচ্ছে জগিং বা হাঁটা-হাঁটি।এ কারণে জগিং করার জন্য শুভ রহমান পৌর মার্কেটে যাওয়া-আসার পথকে বেঁছে নিলেন।পৌর মার্কেটে শুভ রহমানের ফুফাত ভাইয়ের দোকান,শুভ রহমানের হাইস্কুল জীবনের দুই বন্ধুর দোকান এবং শুভ রহমানের ভগ্নিপতির ছোট ভাইয়ের দোকান রয়েছে।বলতে পারেন,শুভ রহমান এই দোকান গুলোতে বসে আড্ডা দেয়।সম্পূর্ণভাবে এটিকে আড্ডা বলা যাবে না কারণ;এখানে যাওয়া-আসার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য রয়েছে।আসরের নামাজ পড়ে শুভ রহমান হাঁটতে হাঁটতে এই দোকান গুলোতে গিয়ে খানিকটা সময় বসে থাকেন এবং মাগরিবের নামাজের আগেই আবার হাঁটতে হাঁটতে বাসায় ফিরে শুভ রহমান মাগরিবের নামাজ আদায় করেন।১১-০৩-২০১১ইংরেজী তারিখ-আজকে এর ব্যতিক্রম হয়েছে।সকালবেলা থেকেই শুভ রহমান কেমন যেন টিভি দেখার প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।দুপুর বেলা শুভ রহমান টিভি দেখার এক পর্যায়ে যোহরের নামাজ মিস করেছেন এমনকি আছরের নামাজের আগেই পৌর মার্কেটে গিয়েছেন এবং আড্ডাটা বেশ জমে গিয়েছিল।আড্ডা জমার মধ্যে দিয়ে কখন যে আছরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে গিয়েছে সেদিকে শুভ রহমান লক্ষ্য করেননি;এদিকে মাগরিবের ওয়াক্ত টাও শেষ হয়ে যাচ্ছে সেদিকে শুভ রহমানের মনোযোগ নেই।এমন সময় হঠাৎ বাইরে থেকে ধূলা-বালি পৌর মার্কেটের ভিতরে চলে আসল।ব্যাপার কি এত ধূলা-বালি কিসের ? বাইরে গিয়ে শুভ রহমান দেখে,কাল বৈশাখীর ঝড়। চারিদিকে অন্ধকার হয়ে আসছে।এমন অবস্থা দেখে শুভ রহমান বাসায় একটা ফোন করে দিলেন কারণ;শুভ রহমান সন্ধ্যার আগেই বাসায় ফিরেন,আজকে সন্ধ্যার আগে বাসায় না ফেরার কারণে বাসায় লোকজন চিন্তা করতে পারে।কাল বৈশাখীর ঝড়ের পর বাইরে বেশ বৃষ্টি হচ্ছিল।প্রায় ঘন্টা খানেক পর বৃষ্টি থামল।এখন শুভ রহমানের বাসায় ফেরার পালা।এখান থেকে শুভ রহমান প্রতিদিনই পায়ে হেঁটে বাসায় ফেরেন।প্রায় আধ-ঘন্টা সময় লাগে বাসায় ফিরতে।আজকে আর পায়ে হেটে বাসায় ফেরা হবে না শুভ রহমানের কারণ;বাইরে বেশ ঘুটঘুটে অন্ধকার এবং বৃষ্টি নেমে রাস্তাঘাটের বারোটা বেজে গিয়েছে।বাইরে দাঁড়িয়ে শুভ রহমান ইজিবাইক টেম্পুর জন্য অপেক্ষা করছেন কিন্তু;একটা ইজিবাইক ও খালি আসছিল না কারণ;ঝড়ের পরে আটকে থাকা লোকজনের ভিড় ছিল,এখন তারা এক সাথে হন্নে হয়ে বাসায় ফিরছে।এ কারণে শুভ রহমান হেঁটে হেঁটে রাস্তার পাশ দিয়ে টেম্পু স্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন।বাইরে বেশ ঘুটঘুটে অন্ধকার,সতর্কতার সাথে শুভ রহমান এগুচ্ছেন কিন্তু;সতর্ক হয়ে চললে কি হবে ,রাস্তার সব ড্রাইভার কি সবসময় সতর্ক হয়ে গাড়ি চালায় ?ইস্ অল্পের জন্য শুভ রহমান প্রানে বেঁচে গেলেন।বেশ ব্যাথা পেয়েছেন শুভ রহমান-আহত হওয়ার পর্যায়ে পড়েছে।সেখানে তিনি খানিকটা সময় বসে রইলেন এবং ফুফাত ভাইকে ফোন করলেন তাকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার জন্য।শুভ রহমানকে নিয়ে তার ফুফাত ভাই বাসায় ফিরলেন।অভ্যাসের একদিনের হেরফেরের কারণে আজকে না,কি বিপদই হতে পারত শুভ রহমানের !শুভ রহমান যদি মাগরিবের নামাজের আগে পূর্বের ন্যায় বাসায় ফিরতেন তাহলে কি শুভ রহমানকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হত ?আল্লাহ শুভ রহমানকে মাফ করুণ,এমনভাবে শুভ রহমান যেন নামাজকে অবহেলা না করেন।আজকে না হয় বিপদ হয়নি,এমনভাবে যদি শুভ রহমান ক্রমাগত ভুল করেন-তাহলে পরবর্তীতে যে বিপদ হবে না তার নিশ্চয়তা কে দিবে?বিপদ গুলোর মধ্যে যেমন-এরকম ঝড়-বৃষ্টিতে আটকে গিয়ে বা রাস্তায় ছিনতাইকারী মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার বিপদ বা রাস্তাঘাটে দূর্ঘটনা জনিত  বিপদ ইত্যাদি হতে পারে।আমার এ লেখাটি বিপদগামী যুব সমাজকে লক্ষ্য করে লেখা।এই যুবরা হতে পারে আমার আপনার ভাই-বোন,আত্নীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধব বা প্রতিবেশি।তারা অকারণে বাইরে ঘোরা-ফেরা করে।এরা ঠিকমত বাসায় ফিরে না একারণে বাসার লোকজন বিভিন্ন সময়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকে।শুভ রহমান না হয় একটি দিনের খারাপ অভ্যাসের কারণে বিপদের সম্মুখীন হয়েছিলেন কিন্তু;বিপদগামী যুব সমাজ যারা ঘন্টার পর ঘন্টা বাইরে থাকে তারা প্রতিনিয়ত যে কোন মুহূর্তে বিপদের সম্মুখীন হতে পারে।আমাদের মধ্যে শুভ রহমানের মত একশ্রেণীর লোক আছে যারা সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথে বাসায় ফেরে,আবার আরেক শ্রেণীর লোক আছে যারা সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথে বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়।এরা বাইরে গিয়ে কোথায় কি করে তা বাসার লোকজনের কাছে খুব একটা জানা থাকে না।এরা ঘন্টার পর ঘন্টা বাইরে থেকে রাত্রি ১১টা বা কখনো রাত ১২ টায়ও বাসায় ফেরে।এই অভ্যাস গুলো ছোটবেলা থেকে শুরু হয়ে এমন কি বিবাহিত অবস্থায়ও কন্যা-পুত্র সন্তানের বাবা-মা হয়েও রয়ে যায়।এমনি একজন লোক হচ্ছে তোরাব আলী যিনি তিন সন্তানের জনক হয়েছেন।বেশ কয়েকবার পৌর কাউন্সেলর হয়েছেন।তার এক পুত্র এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন আরেক ছেলে কলেজে এবং বাকি জন হাইস্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ে।এ থেকে বোঝা যাচ্ছে তোরাব আলীর বয়সটাতো আর কম হয়নি।তোরাব আলী সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথে বাসা থেকে বেড়িয়ে যান এবং ক্লাবে গিয়ে আড্ডা দেন। তোরাব আলী ছোট বেলা থেকেই বাইরে বাইরে থাকতেন এ কারণে পড়াশুনায়ও তেমন একটা ভালো করতে পারেননি কোনমতে এইচ.এস.সি পাশ করেছেন এবং এই কারণে কোথাও চাকরি করতে পারেননি।তিনি বড় হয়েও এই ঘোরাঘুরির অভ্যাস রপ্ত করে চলেছেন।তোরাব আলী ক্লাব থেকে বেশ রাত করে বাসায় ফেরেন।কখনো কখনো তোরাব আলী রাত ১২টায় বাসায় ফেরেন।বাসায় এসে খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমাতে যেতে রাত ১২.৩০ বেজে যায়।এ কারণে তোরাব আলীকে গভির রাতেও ফোন করে পাওয়া যায় কারণ;১০টা কিংবা ১১টায় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে গেলে ফোন বন্ধ করে হয়ত ঘুমিয়ে যেতেন কিন্তু;১২.৩০টায় ঘুমানোর জন্য তাকে গভির রাতে ফোন করে পাওয়া যায়।অনেক লোক হয়ত তাকে ভালো চোখে দেখে,যে তাকে বিপদের সময় গভির রাতেও ফোন করে পাওয়া যায়।এই কারণেই হয়ত তিনি পৌর কাউন্সেলর হয়েছেন।কিন্তু আমার পর্যবেক্ষণে আমি বলব-তোরাব আলী লোকটি খারাপ অভ্যাসের দরুণ রাত করে বাসায় ফেরে এজন্য লোকজন গভির রাতে বিপদের সময় হয়ত তাকে পায় কিন্তু;এত রাত করে বাসায় ফেরার কারণে-তার ছেলে-পুলে এবং স্ত্রী কত না দুঃচিন্তায় সময় পার করে।তোরাব আলী লোকটি এত রাতে ক্লাবে থেকে নিশ্চয় ভালো কিছু করে না।তেমনিভাবে যুব সমাজ যারা সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় এবং কখন যে বাসায় ফেরে তার হদিস থাকে না তাদেরকে নিয়ে বাসার লোকজন কত না দুঃচিন্তায় থাকে।এ সমস্ত যুবদের ঘোরাঘুরির খারাপ অভ্যাস বাদ দেয়ার শ্রেষ্ঠ পথ একমাত্র নামাজই হতে পারে।শুভ রহমানের ছোট একটি ঘটনার মাধ্যমে তা প্রতিয়মান হচ্ছে।যথাযথ সময়ে ওয়াক্তমত নামাজ পড়ার মাধ্যমে শুভ রহমান যেমন-বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারে ঠিক তেমনি,যুব সমাজ শুভ রহমানের সঠিক সময়ে নামাজ পড়ার অভ্যাস রপ্ত করার মাধ্যমে ঘোরাঘুরির অভ্যাস থাকলেও তারা সঠিক সময়ে বাষায় ফিরতে পারে।তাই শুভ রহমানের মত সকল মুসলিম যুব সমাজের সকলকে ওয়াক্তমত নামাজ পড়া উচিৎ।ওয়াক্ত মত নামাজ পড়লে বিভিন্ন দূর্ঘটনা থেকে যুব সমাজ রেহাই পেতে পারবে এবং এসব যুব পরিবারগুলো দুঃচিন্তামুক্ত থাকতে পারবে।আসুন আমরা সকল মুসলিম ভাই-বোনেরা ওয়াক্তমত নামাজ পড়ি এবং সময়মত বাসায় ফিরি।এই লেখাটি লিখেছেনঃ-                                                                                                                                                                                      মোঃ আমিনুল ইসলাম বুলবুল।                                                                                                                                                                                                                                             ধন্যবাদ

মানুষ মানুষকে মদন,পাগল বা বোকা বলা কি ঠিক হচ্ছে ?

মানুষ মানুষকে মদন,পাগল বা বোকা বলা কি ঠিক হচ্ছে ?

by Md Aminul Islam Bulbul on Wednesday, March 9, 2011 at 1:27pm
এ কোন দুনিয়ায় বাস করি আমরা ?মানুষ মানুষকে মদন বলে,পাগল বলে,বোকা বলে বা আরো কত কি বলে !তারা কি মদনকে মদন বলছে ?             অনেকক্ষেত্রে এই মানুষগুলো মদন না,পাগল না এবং বোকাও না।তবুও মানুষ মানুষকে এগুলো বলছে।আর যদি হয় মদন,পাগল বা বোকা তাহলে তো কথাই নেই-অনবিরত এগুলো বলে চলেছে।হতে পারে মানুষগুলো তার থেকে তুলনামূলকভাবে মদন,পাগল বা বোকা।তাই বলে তাদেরকে কি এগুলো বলা ঠিক হচ্ছে ?সেই লোকগুলো হয়ত জানে না-তাদের ভিতরে এমন কিছু গুণ থাকতে পারে যা যে লোকগুলো এগুলো বলছে তা হয়ত সেই লোকগুলোরও ভিতরে নেই।দেখুন যে লোকগুলোকে মদন বলছেনঃ সেই লোকগুলো আপনার কাছে মদন হতে পারে।যে কারণে আপনার কাছে মদন সেই একই কারণে,আপনিও অন্য একজনের কাছে-যে আপনার চেয়ে এগিয়ে তার কাছে আপনিও তো মদন তাই নয় কি ?তাহলে কেন বলছেন এগুলো অন্য আরেক জনকে ?আর শুনুন, মানুষকে পাগল বলবেন ?মানসিক রোগের সাধারণ জ্ঞানের বইটা একবার পড়ে দেখুন,যদি সামন্যতম জ্ঞানী হয়ে থাকেন।দেখবেন মানসিক রোগের লক্ষণের সাথে অনেকগুলো লক্ষণই আপনার মিলে গিয়েছে-তাহলে তো সঠিক বিচারে আপনিও একজন পাগল।তাহলে কেন অন্য আরেকজনকে পাগল বলছেন ?হতে পারে পাগল বলা লোকটির মানসিক রোগের ১০০ টি লক্ষণের মধ্যে ৬০ টি উপস্থিত আর আপনার লক্ষণও কম নয়,তা প্রায় ৪০% হতে পারে।৬০% লক্ষণে থাকা লোকটির লক্ষণ মানুষের কাছে প্রকাশ পাচ্ছে;আর আপনার ৪০% লক্ষণ থাকার কারণে তা অন্য লোকদের কাছে খুব একটা প্রকাশ পাচ্ছে না। কিন্তু সঠিক বিচারে আপনার ভিতরে মানসিক রোগের লক্ষণ থাকার কারণে, আপনিও তো একজন পাগল তাই নয় কি ?আপনি একজন ভাল ছাত্র,পরিক্ষায় ১০০ তে ৮০ মার্ক অর্থাৎ এ+ পেয়েছেন।এজন্য অন্য একজন যে আপনার শ্রেণীতেই পড়ে সে পরিক্ষায় ৬০ নম্বর পেয়েছে তাকে আপনি বোকা বলছেন ? কিন্তু কেন, তাদের এগুলো বলছেন; মাত্র ২০ নম্বর আপনার সাথে ব্যবধানের কারণে ?আপনি একটি জেলার ভিতরে ভাল একটি কলেজ সরকারী দেবেন্দ্র কলেজে পড়েন সে কারণে আপনার শ্রেণীরই অন্য লোকদের বোকা বলছেন।কিন্তু আপনি যদি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তাহলে হয়ত প্রতিযোগিতায় তাদের সাথে টিকতে পারবেন না।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যদি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কাছে যায়,চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কাছে অনুরুপ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় তাহলে কি প্রতিযোগিতায় টিকা সম্ভব ?তাহলে কেন অন্য ছাত্রদের বোকা বলছেন ?ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বুয়েট কিংবা ঢাকা মেডিক্যালে পড়েন ?খুব বড় হয়ে গেছেন তাই না ?আপনারা যদি ভারতে যান,ভারতের লোকেরা যদি চীনে যায় বা চীনের লোকেরা যদি ইংল্যান্ড অথবা যুক্তরাষ্ট্রে যায় তাহলে কি প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে ?তাহলে কেন অন্য লোকদের বোকা বলছেন ? হ্যাঁ আপনি হয়ত আমেরিকার রয়েল কলেজ অব ফিজিসিয়ান হয়ে গেছেন,MRCP বা FRCP ডিগ্রী ঝুলিয়েছেন।অনেক বড় পন্ডিত হয়ে গেছেন তাই না ?একবার ভাবুন তো সেই লোকটিকে যিনি সৃষ্টি করেছেন,তিনি কত বড় মহাক্রমশালী,প্রজ্ঞাময়,বিজ্ঞ।পারলে একবার চিন্তা করে দেখুন তো।যিনি সমগ্র সৃষ্টিকে পরিচালনা করছেন-তিনি কত বড় জ্ঞানী !তাহলে অন্য লোকগুলোকে কেন বোকা বলছেন ?MRCP,FRCP ডিগ্রিধারী লোকগুলো সৃষ্টি কর্তার কাছে কতই না বোকা।বোকা বলছি একারণেই,কারণ পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে জানা যায়-মানুষকে খুব অল্প জ্ঞান দিয়েই পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে।তাহলে কেন আপনার থেকে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকা লোকগুলোকে এগুলো বলবেন ?এখনই সাবধান হয়ে যান।আপনি এগুলো অন্যকে বললে,অন্য আরেকজনও হয়ত আপনাকে এগুলো বলে বেড়াবে।নিজের ভালোর জন্যই এগুলো বন্ধ হওয়া উচিৎ কারণ;কারো অধিকার নেই মানুষ হয়ে মানুষকে এগুলো বলার।No improvement is possible unless this problem is solved.

একজন মানুষের ভিতরে থাকা বেশ কিছু গুণাবলী

 (১) চেষ্টা করি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে।
 (২) চেষ্টা করি সর্বদা সত্য কথা বলতে।
 (৩) টাইম মাফিক অর্থাৎ ঘড়ি মেপে খাওয়া দাওয়া করি।
 (৪) প্রকৃত ভিক্ষুককে ভিক্ষা দিতে চেষ্টা করি।
 (৫)পরিবারের সবার সাথে বসে প্রতিদিন কিছু সময় কাটাই।
 (৬) মা বাজার করতে বললে,বাজার করে দেই।
 (৭) বাসায় আত্নীয়-স্বজন আসলে,তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করি।
 (৮) নিয়মিত হাটা-হাটি অর্থাৎ জগিং করি।
 (৯) খাবারের পর মাছের কাটা পানিতে ফেলি না;সেগুলি বিড়ালকে খেতে দেই।
 (১০) রাস্তায় পরিচিত কাউরো সাথে দেখা হলে,তাদেরকে বাসায় আসতে বলি।  
 (১১) কাউকে কোন কথা দিলে,সেটি পূরণ করার চেষ্টা করি।
 (১২) অযথা ফোনে কথা বলে সময় নষ্ট করি না।  
 (১৩) কোন মেয়ে বান্ধবীর সঙ্গে কোনদিন বেড়ানো হয়নি।
 (১৪) কোনদিন ধূমপান করিনি বা অন্য কোন মাদকের সঙ্গে জড়িত নই।
 (১৫) ইচ্ছা পোষণ করি জীবনে ভাল কিছু একটা করতে।
 (১৬) বাকি খাওয়ার অভ্যাস নেই।
 (১৭) কোন ব্যক্তির আমার কাছে কোন টাকা পাওনা নেই।
 (১৮) কাউকে কোনদিন ধোকা দেইনি।
 (১৯) খুব সহজে রেগে যাইনা।
 (২০) প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় বা অপচয় করিনা।
 (২১) সাধারণভাবে চলাফেরা করি,কোন বিদেশি ফ্যাশনে মনযোগ নেই।
 (২২) জীবনে কোনদিন সানগ্লাস পরিনি;কারণ আমি মনে করি,এতে আত্মমর্যাদাবোধ জেগে উঠে।
 (২৩) জীবনে ব্যর্থতা আসলেও হতাশ হই না।
 (২৪) অশ্লীলতা পছন্দ করি না কারণ;আমি মনে করি,এগুলো আমাদের ক্ষতি করে।
 (২৫) পৃথিবীর সব ধর্মের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে;আমি মনে করি,ধর্ম মানুষকে মুক্তি দেয় প্রগতির দিকে নিয়ে যায়,জীবনে সফলতা বয়ে আনে।
 (২৬) কারো প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ করিনা;সবার সুখে হাসি এবং সবার দুঃখে কাঁদি।
 (২৭) বর্তমানে কোন গান শুনি না কারণ;আমি মনে করি বিনোদনকে ডাইভার্ট করা যায়।
 (২৮) ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখি-যেমন;
           প্রতিদিন গোসল করি।              
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করি।
                      পরিষ্কার পোশাক পরিধান করি।
                      নিজের থাকার রুম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি।
 (২৯) নিজের কাজ নিজে করতে পছন্দ করি এবং এতে লজ্জাবোধ করি না। যেমন;নিজের  পোশাক নিজে ধুয়ে থাকি।
 (৩০) বড়দের সম্মান করি এবং ছোটদের স্নেহ করি।
 (৩১) পরচর্চা বা কারো দুর্নাম বদনাম করি না। 
 (৩২) নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাই এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠি।
 (৩৩) ব্যক্তিগতভাবে স্বাস্থ্য সচেতন এবং এব্যাপারে খাওয়া-দাওয়ায় সচেতন।
 (৩৪) নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখা-লেখি পড়ি।
 (৩৫) নির্দিষ্ট কোন বন্ধু-বান্ধবী নেই,সবার সাথে সমান সম্পর্ক বজায় রাখি।
 (৩৬) ছোট বেলা থেকে নিজের ভিতর দেশপ্রেম দারুণভাবে কাজ করে।
 (৩৭) তাকওয়া বা আল্লাহভীতি নিজের ভিতর বিদ্যমান যে কারণে ধর্মীয় কাজগুলো করার চেষ্টা করি।
 (৩৮) কোনদিন কোন কিছু চুরি, তহবিল তছরুপ বা আত্মসাৎ  করিনি।
 (৩৯) অশ্লীল গালমন্দ বা বকাবকির অভ্যাস নেই।
 (৪০) কম কথা বলি,স্বল্পভাষী।
 (৪১) হলে গিয়ে কোনদিন সিনেমা দেখিনি।
 (৪২) পায়ে হেটে যাতায়াত করি,প্রয়োজন ছাড়া রিক্সায় চড়ি না।
 (৪৩) আব্বা-আম্মাকে সম্মান করি,মাতা-পিতার অবাধ্য হই না।
 (৪৪) টিভিতে নাটক-সিনেমা দেখি না।
 (৪৫) ট্রাফিক-আইন, ট্রাফিক-সাইন মেনে চলি যে কারণে;আমাকে রাস্তায় ডান দিক দিয়ে হাটতে দেখা যায়।
 (৪৬) দেশের আইন শৃঙ্খলার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন।
 (৪৭) ছাত্র অবস্থায় রাজনীতি পছন্দ করিনা যে কারণে;রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই।
 (৪৮) যে কোন ধরণের অশ্লীলতা অপছন্দ করি।
 (৪৯) কাউকে কোনদিন কোন চর-থাপ্পর দেইনি বা কোন মারামারি করিনি।
 (৫০) রাত করে বাসায় ফেরি না।
 (৫১) খাওয়া-দাওয়ায় কোন বাছ-বিচার নেই,অর্থাৎ সব খাবারই পছন্দ করি।
 (৫২)ভালো-মন্দ বিচার করতে পারি অর্থাৎ হিতাহিত জ্ঞান আছে।
 (৫৩)রাস্তায় যেখানে-সেখানে থুতু ফেলে রাস্তার পরিবেশ নষ্ট করি না।
 (৫৪)পিতার সাথে কোন দিন বেয়াদবি বা খারাপ ব্যবহার করিনি,যে কারণে কোন দিন বকুনি,মাইর বা পিটুনি খাইনি।

(৫৫)মায়ের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য;সওয়াবের আশায় মাঝে মাঝে প্লেট বা থালা-বাসন গুলো ধুয়ে থাকি।
(৫৬)সকালে বাজার করতে গিয়ে ইজিবাইক বা রিক্সাভাড়ার টাকা বাঁচিয়ে ভিক্ষুককে দান করি।